চৌরাস্তার ফুটওভারব্রীজ হকার ও পকেটমারদের দখলে
ঈদের কেনাকাটা করতে আসা দরিদ্র, নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা এবং ব্যবসায়ীরা পকেটমারের কবলে পড়ে সর্বশান্ত হয়ে অেশ্রুজলে বাড়িতে ফিরছেন প্রতিদিন। মোগরাপাড়া চৌরাস্তার ফুটওভারব্রীজের পৌঁছাতে একরকম শারিরিক যুদ্ধ করতে হয়। পাবলিক টয়লেটের দরজা থেকে শুরু করে সরু ফুটপাতের উভয় পাশ হকারদের দখলে থাকায় ভিড়ের মাঝে নিশ্চিন্তে পকেট মেরে সর্বশান্ত করছে সাধারন মানুষকে আর ফুটপাত ভাড়া দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। বারবার দখলমুক্ত করলেও রহস্যজনক কারনে আরো শক্তিশালী হয়ে ফুটপাত দখল করছে দখলদাররা।
ঈদকে সামনে রেখে প্রতিদিন সোনারগাঁসহ আশপাশের এলাকা থেকে মানুষ আসে নতুন জামা ও অন্যান্য সামগ্রী কিনতে। পছন্দের পন্যটি কিনতে বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে এপার ওপার যাওয়ার পথে পকেট মেরে , ছিনতাই করে ,ব্যগের চেইন খুলে চুরে করে নিয়ে যায় নগদ টাকা ,গলার চেইন, মোবাইল সহ নানা জিনিস পকেটমার ছিনতাইকারী চক্র । প্রতিদিন অর্ধশতাধিক চুরির ঘটনা ঘটছে এ এলাকায় ।
পকেটমারের শিকার সাধারন মানুষ ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানায়, ফুট ওভারব্রীজকে ঘিরে চার পাঁচটি সংঘবদ্ধ দল সক্রীয় রয়েছে । ঈদকে সামনে রেখে টার্গেট করে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে চক্রগুলো।
সোনারগাঁয়ের মোগরাপাড়া চৌরাস্তা ফুটওভারব্রীজ ও দুপাশের জনাকীর্ণ ফুটপাথ পেরিয়ে রাস্তার পশ্চিমপাশে যেতেই ব্যাগে রাখা ২০ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে যায় পকেটমার চক্র। এ ঘটনায় দিশেহারা সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম সিরাজ এ প্রতিবেদককে জানান, একটা ফুটওভার ব্রীজ ও মানুষের চলার রাস্তা দখল করে রাখলেও প্রশাসন কেন নিরব এ বিষয়ে প্রশ্ন তুলেন তিনি। তিনি বলেন, ঈদের বাজারে সাধারন মানুষ তাদের সারা বছরের সঞ্চয় নিয়ে শিশুদের মুখে ঈদের হাসি ফোটাতে এসে পকেট মারের খপ্পরে পড়ে নিজেরাই কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফিরেন। এদের দেখার কি কেউ নেই? ২০ হাজার টাকা চুরি যাওয়ার ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় জিডি করেন তিনি।
ফুটওভার ব্রিজে উঠতে নামতে মানুষের বেশ জটলার তৈরি হয় সেই সুযোগটাই অপরাধী চক্র নিয়ে থাকে।
এ ব্যপারে সোনারগাঁ থানার ওসি হাফিজুর রহমান এ ব্যপারে একটি জিডি নেওয়া হয়েছে। দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
আপনার মতামত জানান