চেয়ারম্যান প্রার্থী এরশাদুল হক যে কারণে খুন হলেন

প্রকাশিত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার নাটঘর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী এরশাদুল হক (৩৫) ও তার সহযোগী বাদল সরকার (২৫) হত্যার ঘটনায় আশরাফুল ইসলাম রাব্বি নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত রবিবার রাতে কসবা উপজেলার বিদ্যানগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

গ্রেফতারের পর রাব্বি জানিয়েছে, এরশাদুলের চাচাতো ভাই সাইফুল্লাহ হত্যা মামলায় আপস না করায় ক্ষুব্ধ হয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়। হত্যাকণ্ডে সহযোগিতা করে নজরুল ইসলাম।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন জানান, সীমান্তপথে পালিয়ে ভারত যাওয়ার চেষ্টা করেছিল রাব্বি। সে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের কাজীপাড়া এলাকার মমিনুল ইসলামের ছেলে।

দুর্বৃত্তদের গুলিতে আহত চেয়ারম্যান প্রার্থী এরশাদুল হক গত শুক্রবার রাতে মারা যান। এর আগে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে নাটঘর ইউনিয়নের কুড়িঘর গ্রামে এই ঘটনায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন বাদল সরকার। এ ঘটনায় ১৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন এরশাদুলের ছোট ভাই মো. আক্তারুজ্জামান।

পুলিশের একটি সূত্র বলছে, ২০১৯ সালে এরশাদুলের চাচাতো ভাই সাইদুল্লাহকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নান্দুরা গ্রামের বাসিন্দা আবু নাছির ও তার ছেলে নজরুল ইসলামসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন এরশাদুল। আবু নাছির ও এরশাদুলের বাড়ি পাশাপাশি। মামলা আপস করার কথা বলে আসামিদের কাছ থেকে ৮০ লাখ টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে এরশাদুলের বিরুদ্ধে। টাকা নিয়েও আপস না করে মামলা চালিয়ে যাওয়ায় তার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে হত্যার পরিকল্পনা করে নজরুল। সম্প্রতি ওই মামলায় নজরুলের বাবা আবু নাছিরকে কারাগারে পাঠান আদালত। এতে ক্ষোভ আরও বেড়ে যায়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন জানান, রাব্বির সঙ্গে নজরুলের পূর্বপরিচয় আছে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সে জানিয়েছে, একটি ডাকাতির মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পর এক মাস ধরে নজরুলের বাড়িতে ছিল। পূর্বপরিকল্পনার অংশ হিসেবে ঘটনার দিন রাব্বি ও নজরুল পৃথক দুটি মোটরসাইকেলে ঘটনাস্থলে যায়। প্রথমে এরশাদুলকে বহনকারী মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে রাব্বি। পরে নজরুল গুলি চালায়। হত্যাকাণ্ডের পরপরই রাব্বি ও নজরুল ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের দিকে চলে আসে। এরপর তারা আলাদা হয়ে যায়।

আপনার মতামত জানান