ঘোড়দৌড়ে ২০ হাজার দর্শকের গাদাগাদি নেই মাস্ক!
করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে ক্ষেত্রবিশেষে জনসমাগম সীমিত, নিষিদ্ধ এবং নিরুৎসাহিত করাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করেছে সরকার। নির্দেশনা বাস্তবায়নে এরই মধ্যে প্রশাসনের কর্মকর্তারা হাট-বাজারে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছেন। এতে মাস্ক বিতরণসহ স্বাস্থ্যবিধি অবহেলা করায় অনেককে জরিমানা করা হচ্ছে। এরপরও সাধারণ মানুষ সচেতন হচ্ছে না। মাস্ক পড়াসহ সামাজিক দূরত্ব মানছেন না কেউ। এর মধ্যেই শুক্রবার বিকালে প্রায় ২০ হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে পাবনার ফরিদপুর উপজেলার দেওভোগ গ্রামে ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখানে স্বাস্থ্যবিধি তো দূরের কথা, গাদাগাদি ভিড়ে কারো মুখে ছিল না মাস্ক।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার বৃলাহিড়ীবাড়ি ইউনিয়নের দেওভোগ গ্রামের শতাধিক বিঘা জমিতে রবিশস্য ফসল চাষাবাদ শেষে উন্মুক্ত রয়েছে। সেই উন্মুক্ত মাঠে গ্রামের একতা যুব সংঘ শুক্রবার ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। এ আয়োজনে দুপুর থেকে ফরিদপুর উপজেলাসহ আশেপাশের উপজেলা থেকে হাজার হাজার মানুষ মাঠের চারপাশে এসে জড়ো হতে থাকেন। বিকাল ৪টার দিকে শুরু হয় প্রতিযোগিতা। জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে টাইগার, যুবরাজ, লালমনি, বীর বাহাদুর,পড়ি, মিঠন, তালুকার, বাংলার দুলদুল, কাজলী, অগ্রদূত, বাহাদুর, সাদামাটি, লাল গোলাপ, মামা-ভাইগ্না ও রঞ্জিত, জালালী, ইমু, সোনার ময়নাপাখি ও পবন নামে ৩০টি ঘোড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। এদের মধ্যে বীর বাহাদুর নামে একটি ঘোড়া প্রথম স্থান অর্জন করে। ঘোড়ার সওয়ারকে ২১ ইঞ্চি এলইডি রঙিন টেলিভিশন পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয়। মূল প্রতিযোগিতা দেখতে অন্তত ২০ হাজার দর্শক জড়ো হয়। তবে করণা সংক্রমণ বাড়লেও কারো মুখে ছিল না মাস্ক। প্রতিযোগিতা দেখতে দর্শনার্থীদের মধ্যে পুরো সময়় ধরে চলে ঠেলাঠেলি।
করোনার ঊর্ধ্বগতিতে এমন আয়োজনে হতবাক হয়েছেন গ্রামের অনেক সচেতন মানুষ। গ্রামবাসীর মতে, আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে খামখেয়ালি করে এই ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা আয়োজন করেছে যুবকরা। যা করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।
এ বিষয়ে কথা বলতে একাধিক আয়োজকের মোবাইল ফোনে কল করলেও তারা রিসিভ করেননি।
আপনার মতামত জানান