গাঙের রাজা দূর্ধষ আল আমিন, ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে আহত

প্রকাশিত

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে এক ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বালু সন্ত্রাসী আলামিনের বিরুদ্ধে। এ ব্যপারে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সোনারগাঁ উপজেলা  শাখার সহ-সভাপতি ও ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম ইমাম বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

মেঘনা নদীতে বালুকাটা, বালু ভরাট ও নৌ চাঁদাবাজিতে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করেছে আল আমিন। প্রশাসনের চোখের সামনে প্রকাশ্যে প্রতিদিন মেঘনা নদীর তলদেশ থেকে লাখ লাখ টাকার বালু লুট হলেও রহস্যময় কারনে নিরব স্থানীয় প্রশাসন। এছাড়া মেঘনা নদীর বৈদ্যের বাজার ইউনিয়নের আনন্দ বাজার এলাকা দিয়ে বাল্কহেট, জাহাজ, টলার ও স্পিডবোর্ড চললে আলামিনকে চাঁদা দিতে হয়। নৌযান শ্রমিকরা গাঙের রাজা বলে চিনে।

জানা যায়, এলাকায় বাড়ি তৈরি, বালু ভরাট করলেও তাকে মোটা অংকের চাঁদা দিতে হয়। তাকে ছাড়া অন্য কোথাও থেকে বালু কিনে আনলে শ্রমিক ও মালিকদের উপর নেমে আসে নির্মম নির‌্যাতন। একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সোনারগাঁ উপজেলা  শাখার সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম ইমাম তার বসত বাড়িতে বালু ভরাটের জন্য উপজেলার আনন্দবাজার সংলগ্ন মেঘনা নদী থেকে একটি পাইপ লাইন বসায়। ১৬ মার্চ সকালে
বাল্কহেড শ্রমিকরা অন্যত্র থেকে এনে ড্রেজার মাধ্যমে বালু ফেলতে গেলে উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের খামারগাঁও ট্যাকপাড়া গ্রামের মৃত নুরু মিয়ার ছেলে আলামিন ও সহযোগীরা শ্রমিকদের মারধর করে।

খবর পেয়ে শফিকুল ইসলাম ইমাম ঘটনাস্থলে ছুটে আসলে আলামিন ও তার ৪/৫ সহযোগী তার কাছে চাঁদা দাবি করে। টাকা না দিলে বালু ফেলতে দেওয়া হবে না বলে হুমকি প্রদান করে। শফিকুল ইসলাম টাকা দিতে অস্বীকার ও শ্রমিক পেটানোর প্রতিবাদ করে। এতে আলামিন ও তার ৪/৫ সহযোগিরা শফিকুল ইসলাম ইমামকে কিল-ঘুষি-লাথি ও কাঠের বৈঠা দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে ।

আপনার মতামত জানান