গরুর পেটে করে আসছে ইয়াবা!
পলিথিনে ইয়াবা মুড়িয়ে সেটি অন্য খাবারের সঙ্গে গরুকে খাওয়ানো হয়। পরে জবাই শেষে মাংস বিক্রির পাশাপাশি পলিথিন থেকে ‘উদ্ধার’ করা করা হয় সেই ইয়াবা। যে কারণে দিনকে দিনকে ভারতীয় গরুর ভুড়ির কদর বেড়েই চলছে!
এমন চাঞ্চল্যকর তথ্যই জানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা থানার ওসি মো. লোকমান হোসেন। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত উপজেলা আইনশৃংখলা কমিটির সভায় ওসি এ তথ্য দেন। পরে সেটি সবার মাঝে আলোচনার খোরাক হয়ে দাঁড়ায়। উদ্বেগ প্রকাশ করার পাশাপাশি গরু চোরাচালান বন্ধে কি ধরণের পদক্ষেপ নেয়া যায় সে বিষয়ে সভাতে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
ওসি লোকমান হোসেন বলেন, ‘যেকোনো উপায়ে ভারতীয় গরু আসা বন্ধ করতে হবে। গরু আসলে মাদকও আসা শুরু হবে।’ এ ছাড়া গরুর পেটে করে যেভাবে ইয়াবা আনা হচ্ছে সেটা উদ্বেগজনক বলেও তিনি আখ্যায়িত করেন।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মাসুদ উল আলম এর সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওছার ভূঁইয়া জীবন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) হাসিবা খান, পৌর মেয়র মো. এমরান উদ্দিন জুয়েল, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় চোরাচালান বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) প্রতিনিধিরও দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। এ সময় ওই প্রতিনিধি জানান, তাঁরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছেন গরুসহ অন্যান্য চোরাচালান বন্ধ করতে। এ বিষয়ে এখন থেকে আরো যথাযথ কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন ওই প্রতিনিধি। তবে তিনি ওসির আগে বক্তব্য দেয়ায় গরুর পেটে করে ইয়াবা আসার বিষয়ে তিনি কথা বলার সুযোগ পান নি।
সভায় উপস্থিত উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন বলেন, এ ধরণের তথ্য শুনে সবাই অবাক হন। দ্রুত গরু চোরাচালান বন্ধে জোরালো দাবি উত্থাপন করা হয় সভায়। অন্যথায় মাদকের ভয়াবহতা রোধ করা সম্ভব হবে না।
আপনার মতামত জানান