কামালের বিরুদ্ধে ইমামকে মারধরের অভিযোগ

প্রকাশিত

সোনারগাঁ উপজেলার বৈদ্যেরবাজার এন.এ.এম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে এক ইমামকে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই ইমাম বাদী হয়ে কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

সাধারণ ডায়েরিতে উপজেলার সনমান্দি ইউনিয়নের দৌলরদী পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদের ইমাম সাইফুল ইসলাম উল্লেখ করেন, সরকার করোনা মহামারির কারণে দেশের প্রত্যেক ইমামকে ৫ হাজার টাকা করে প্রনোদনা ঘোষণা করেন। বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) মসজিদ কমিটির সভাপতি হোসেন আলী ভূঁইয়ার নির্দেশে তিনি সোনালী ব্যাংক সোনারগাঁ শাখা থেকে ওই প্রনোদনার ৫ হাজার টাকা উত্তোলন করে বাড়ি ফেরার পথে উপজেলার প্রধান ফটকের সামনের রাস্তায় পৌঁছলে বৈদ্যেরবাজার এন.এ.এম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন ও তার সহযোগিরা তাকে মারধর করে জোরপূর্বক সিএনজিতে করে তুলে নিয়ে যায়। এসময় তিনি ডাক-চিৎকার করলে মোগরাপাড়া চৌরাস্তার সোনারগাঁ সেবা জেনারেল হাসপাতালের সামনে লোকজন জড়ো হলে কামাল হোসেন ও তার সহযোগিরা তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে সিএনজি থেকে নামিয়ে দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।

ভুক্তভোগী ইমাম সাইফুল ইসলাম জানান, কামাল হোসেন ও তার সহযোগিরা আমাকে মারধর করে জোরপূর্বক তুলে নিলে আমার আত্মচিৎকারে মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় স্থানীয় লোকজনের চাপের মুখে আমাকে সিএনজি থেকে পালিয়ে যায়। পরে আমি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার সহ মসজিদ কমিটির লোকদের অবহিত করি। তাদের পরামর্শে জীবনের নিরাপত্তার জন্য থানায় সাধারণ ডায়েরি করি। আমি এর দৃষ্টান্তমুলক বিচার চাই।

অনুসন্ধানে জানা যায় কামাল হোসেনের নেতৃত্বে এলাকায় একটি সশস্ত্র বাহিনী বিভিন্ন সময় এলাকার অসহায় ও নিরিহ মানুষের উপর নানাভাবে অত্যাচার নিযাতন চালিয়ে আসছে। কামাল হোসেন পেশায় শিক্ষক হলেও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতার তকমা ব্যবহার করে বিভিন্ন অপকর্ম করে যাচ্ছে। তার ও বাহিনীর সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজির কারনে এলাকার মানুষ অতিষ্ট। নতুন বাড়ি করলে, সরকারি রাস্তা দিয়ে মালামাল বহন করলে, বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে গেলেও তার অনুমতি লাগে। অন্যতায় ঐ পরিবারের উপর চলে মধ্যযুগীয় নিযাতন। শেষ পযন্ত একজন ইমামও তার কাছ থেকে রেহায় পেল না এলাকাবাসী অভিযোগ করেন। তারা জানান, সে তার বির্তকিত কর্মকান্ড পরিচালনা করে শিক্ষকতার মতো মহান পেশাকে কলঙ্কিত করছেন। তার এমন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের কঠিন বিচার দাবি করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।

মসজিদ কমিটির সভাপতি হোসেন আলী ভূঁইয়া জানান, করোনার মহামারিতে যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের ইমামদের পাশে দাঁড়িয়ে প্রনোদনা ঘোষনা করেছেন ঠিক সেই সময় একজন ইমাম ব্যাংক থেকে প্রনোদনার টাকা তুলে মসজিদে ফেরার পথে হামলার শিকার হন এ ঘটনাটি সত্যিই দু:খজনক। আমরা এর ন্যায় বিচার চাই।

সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান, ইমামকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি নেওয়া হয়েছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আপনার মতামত জানান