কম্বল পেয়ে আনন্দিত এতিম শিক্ষার্থীরা

ছোট্ট শিশু মো. শাহীন। তিন বছর বয়সে তার মা মারা যাওয়ার পর আবার বিয়ে করেন বাবা। কোরআনে হাফেজ বানানোর স্বপ্ন নিয়ে অসহায় শাহীনকে ভর্তি করা হয় উপজেলাসংলগ্ন মোহাম্মদীয়া এমদাদীয়া তাহ্ফীজুল কোরআন মাদরাসা ও এতিমখানায়। মাওলানা আব্দুদ দাইয়ান এতিম শিশুদের এলেম শিক্ষা দিতে নিজের বাড়িতে মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন। বেশির ভাগ এতিম শিশুর ভরণ-পোষণ ও শিক্ষার অর্থ জোগাতেই হিমশিম খাচ্ছেন। কনকনে ঠাণ্ডা সকাল আর কুয়াশার তীব্র শীতের রাতে শিশুরা যখন জড়সড়, তখন তিনি অসহায়ের মতো তাকিয়ে থাকেন। বিষয়টি কানে আসে সোনারগাঁ উপজেলা শুভসংঘের এক বন্ধুর। রাতে মাদরাসায় গিয়ে শিশুদের কষ্ট দেখে এসে বিষয়টি তিনি জানান কালের কণ্ঠ’র উপজেলা প্রতিনিধি ও শুভসংঘের বন্ধুদের। খবর পেয়ে রাতেই মাদরাসা ক্যাম্পাস পরিদর্শন করে সোনারগাঁ উপজেলা শুভসংঘ। শাহীনের মতো অনেক শিশুই তখন শীতে কাঁপছিল।
কালের কণ্ঠ শুভসংঘের উদ্যোগে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে শুভসংঘের বন্ধুরা কম্বল নিয়ে হাজির হন সেই মাদরাসায়। প্রতিটি শিশুর হাতে পৌঁছে দেন রঙিন কম্বল। রঙিন কম্বলে এতিম শিশুদের হাসিতেও লাগে আনন্দের রং। তারা দুই হাত তুলে শুভসংঘের শুভ কাজের মানুষদের জন্য দোয়া করে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ ইউসুফ হাবীব, সোনারগাঁ পৌরসভা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক গাজী আমজাদ হোসেন, যুবলীগ নেতা মামুন আল ইসমাঈল, দলিল লেখক মোস্তাক আহমেদ, গাজী আলমগীর, কামরুল ইসলাম, তোফায়েল আহমেদ, মাসুম মিয়া ও কালের কণ্ঠ’র সোনারগাঁ প্রতিনিধি গাজী মোবারকসহ শুভসংঘের বন্ধুরা ।
মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আব্দুদ দাইয়ান বলেন, শুভসংঘ এতিম শিশুদের শীত নিবারণে যে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে, আল্লাহ তাদের জন্য রহমতের দরজা খুলে দেবেন। তিনি বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের জন্য প্রাণভরে দোয়া করেন।
সোনারগাঁ পৌরসভা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক গাজী আমজাদ হোসেন বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা রেখে চলেছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ইউসুফ হাবীব বলেন, ‘শুভসংঘের মানবিক কাজে শরিক হতে পেরে আমি গর্বিত। শিশুদের হাসি দেখে আমি আনন্দ অশ্রু ধরে রাখতে পারিনি। দেশে প্রতিটি সংগঠন যদি এমন মানবিক কাজে এগিয়ে আসত, তবে সব এতিম শিশুর মুখে ফুটে উঠত নির্মল হাসি।’
সুত্র : কালের কন্ঠ
আপনার মতামত জানান