কক্সবাজারে শ্রমিক লীগের সভাপতিসহ গুলিবিদ্ধ দুই ভাই

প্রকাশিত

কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের সংযোগস্থল লিংকরোডে দুর্বৃত্তের গুলিতে জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম সিকদার ও তার ভাই ঝিলংজা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কুদরত উল্লাহ সিকদার গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে।

শুক্রবার (৫ নভেম্বর) রাত সোয়া ১০টার দিকে একদল দুর্বৃত্ত মোটরসাইকেলযোগে লিংকরোডস্থ কুদরত উল্লাহর অফিসে এসে অতর্কিত গুলি করে পালিয়ে যায়।
সম্পর্কিত খবর

আহতরা কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মাঝে মেম্বার কুদরত উল্লাহ সিকদারের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

স্থানীয় সূত্র জানায়, লিংকরোডে কুদরত উল্লাহ তার ব্যক্তিগত অফিসে বসে জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি ও তার বড় ভাই জহিরুল ইসলামসহ নেতাকর্মীদের সঙ্গে নির্বাচনের বিষয়ে কথা বলছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেল নিয়ে একদল লোক এসে অফিসের ভেতরে গুলি করে পালিয়ে যায়।

অপর সূত্র বলছে, দুর্বৃত্তরা সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে এসে গুলি করে দ্রুত পালিয়ে গেছে।

আহতদের বরাত দিয়ে জেলা শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউল্লাহ আনসারী বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে একই ওয়ার্ডের অপর মেম্বার প্রার্থী লিয়াকত ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী মোটরসাইকেল নিয়ে এসে জহির ও কুদরতকে গুলি করে পালিয়ে যায়। এতে কুদরত উল্লাহ হাতের একটি আঙ্গুল ছিঁড়ে গেছে। তার বুকে ও পেটে চারটি গুলির ক্ষত রয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে অপর মেম্বার প্রার্থী লিয়াকত আলীর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হয়। প্রথমে রিং হলেও পরে তিনি মোবাইল বন্ধ করে ফেলায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, লিংকরোড বনফুল রেস্টুরেন্টের সামনে দুর্বৃত্তরা হঠাৎ এসে প্রথমে তাদের দুইজনকে টার্গেট করে ককটেল নিক্ষেপ করে। এতে আশপাশের সাধারণ মানুষ সরে যায়। ঠিক তখন তাদের দুজনের গায়ে ৩ রাউন্ড গুলি করে দুর্বৃত্তরা। পরে দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে দুর্বৃত্তরা দ্রুত পালিয়ে যায়।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে কক্সবাজার সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বিপুল চদ্র দে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল ও কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পুলিশের পৃথক দুটি টিম পাঠানো হয়েছে। গুলির ঘটনায় যেই জড়িত থাকুক তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উল্লেখ্য, ভোটের আগে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার আশঙ্কা করে কয়েকদিন আগে নির্বাচন কর্মকর্তাকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন কুদরত উল্লাহ সিকদার। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী লিয়াকত আলীও এমন ঘটনার আশঙ্কা করে পাল্টা অভিযোগ দিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়া ভণ্ডুল ও দুই প্রার্থীর মধ্যে বিরোধ লাগিয়ে দিতে তৃতীয় কোনো পক্ষ এ কাজ করেছে কি না তা খতিয়ে দেখতে তদন্তের দাবি করেছে স্থানীয়রা।

আপনার মতামত জানান