ওসি নন্দন কান্তি ধরের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ

প্রকাশিত

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর থানা পুলিশের সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নন্দন কান্তি ধরের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ করেছেন তাহিরপুর উপজেলাধীন উত্তর বন্দন এলাকার বাসিন্দা সেলিম ইকবাল।

গতকাল (মঙ্গলবার) দুপুরে সেলিম ইকবাল দুদকের প্রধান কার্যালয়ে তাহিরপুর থানার ওসি নন্দন কান্তি ধরের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও চাঁদাবাজি বিষয়ে অভিযোগ এনে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এই ওসির বিরুদ্ধে দায়িত্বকালীন সময়ে বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে চাঁদাবাজি এবং মিথ্যা মামলা দায়ের করে অর্থ আত্মসাত করাসহ আরো কিছু অভিযোগে অভিযুক্ত।

দুদকে দেয়া অভিযোগে বলা হয়, ওসি নন্দন কান্তি ধর ২০১৭ সালে তাহিরপুর উপজেলায় যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন ধরনের চাঁদাবাজি, মিথ্যা মামলা দিয়ে মানুষকে হয়রানি ও রাষ্টীয় সম্পদ আত্মসাৎ করেছেন। একই সঙ্গে যাদুকাটা নদীতে ড্রেজার বসিয়ে অবৈধ টাকার মালিক হয়েছেন ওসি নন্দন কান্তি।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ’ওসি নন্দন কান্তি ধর ২০০ ড্রেজারের মালিক। প্রতিদিন ড্রেজার প্রতি ১৫ হাজার টাকা করে প্রায় ৩০ লাখ টাকা আয় করেছেন। গত তিন বছর তাহিরপুর থানার ওসি থাকা অবস্থায় এসব টাকা অবৈধপথে অর্জন করেছেন তিনি।’

সেলিম ইকবাল দুদকে দেয়া অভিযোগ আরও উল্লেখ করেছেন, ওসি নন্দন কান্তি ধর তাহিরপুরে নদী খনন থেকে শুরু করে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করে লাখ লাখ টাকার মালিক হয়েছেন। জায়গা ভরাট করে দেয়ার নামে তাহিরপুর উপজেলার বাসিন্দা মতুর্জা আলীর কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা নিলেও জায়গা ভরাট করে দেননি ওসি নন্দন।

ওসি নন্দন কান্তি ধরের দুর্নীতির পরিমাণ এতই বৃদ্ধি পেয়েছে যে অবৈধ টাকা দিয়ে ভারত, সিলেটে বাড়ি নির্মাণ করেছেন। দুর্নীতির অধিকাংশ টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। ওসি নন্দন কান্তি ধরের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে বিভিন্ন ধরনের মামলা দিয়ে হয়রানির হুমকি দেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৯ সালে তাহিরপুর উপজেলা থেকে বদলি হওয়ার পর বর্তমানে সুনামগঞ্জ পুলিশ লাইন্সে কর্মরত আছেন নন্দন কান্তি ধর।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তাহিরপুর থানা পুলিশের সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নন্দন কান্তি ধর বলেন, আমার কোনো ড্রেজার মেশিন ছিল না, এখনো নেই। আমি আলী মর্তুজার কাছ থেকে কোনো টাকা নিইনি। আমার বিরুদ্ধে দুদকে মিথ্যা অভিযোগ দেয়া হয়েছে। দুদক অভিযোগ তদন্ত করলে সত্যতা বেরিয়ে আসবে।

আপনার মতামত জানান