এফডিসিতে কোরবানি নিষিদ্ধ, যা বললেন জায়েদ খান

প্রকাশিত

অসচ্ছল শিল্পীদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে গত কয়েকটি ঈদুল আজহায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের অভ্যন্তরে (বিএফডিসি) পশু কোরবানি হয়েছে।

যেখানে আলোচিত নায়িকা পরীমনি, খল অভিনেতা ডিপজল অংশ নিয়েছেন। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির উদ্যোগেও কোরবানি দেওয়া হয়েছে এফডিসিতে।

২০১৬ সাল থেকে নিয়মিত একাধিক গরু কোরবানি দিয়ে আসছিলেন পরীমনি। পরে এতে শিল্পী সমিতিও যুক্ত হয়। এবার ৬টি গরু কোরবানি দেবেন বলে জানিয়েছেন পরীমণি। আর শিল্পী সমিতির উদ্যোগে কোরবানি দেওয়া হবে ৪টি গরু।

তবে এবার আর তা হচ্ছে না। করোনাভাইরাস মহামারির উচ্চসংক্রমণের কথা ভেবেই এবার বিএফডিসিতে পশু কোরবানি দেওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির সহকারী পরিচালক (সিকিউরিটি ইনচার্জ) আমিনুল করিম খান।

বিএফডিসির বিভিন্ন স্থানে ইতোমধ্যে নিষেধাজ্ঞার নোটিশ ঝোলানো হয়েছে। সেখানে লেখা- ‘এফডিসির অভ্যন্তরে কোরবানির পশু প্রবেশ এবং কোরবানির পশু জবাই কঠোরভাবে নিষেধ করা হলো।’

এমন নোটিশের বিষয়ে আমিনুল করিম খান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিভিন্ন শুটিং ফ্লোরের দেয়াল, প্রশাসনিক ভবন ও ক্যান্টিন চত্বরেও নোটিশটি টানিয়েছে এফডিসি কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে শিল্পীদের বিষয়টি জানানো হয়েছে। এ বছর এফডিসির অভ্যন্তরে কোরবানির পশুর প্রবেশ এবং জবাই কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’

এমন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান বলেন, ‘এটা তো আমাদের কোনো সম্পত্তি নয়, সরকারি কেবিআইভুক্ত এরিয়া। সরকার যদি স্বাস্থ্যবিধির কারণে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়, আমরা সহযোগিতা করব। তাছাড়া গত বছর বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছিলাম। মাংসের জন্য বাইরের লোকজন এসে ধাক্কাধাক্কি করে গেট ভেঙে ফেলার মতো অবস্থা করেছিল। করোনা ও এসব বিষয় বিবেচনা করে প্রশাসন যদি মনে করে এখনে কোরবানি দেওয়া সঠিক নয়, আমাদের তা মেনে নেওয়াই উচিৎ হবে বলে মনে করি।’

সূত্রঃ যুগান্তর।

আপনার মতামত জানান