এতিমখানায় চুন কারখানা, ভোগান্তী

প্রকাশিত


নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে একটি এতিমখানা চত্বরে গড়ে উঠেছে অবৈধ চুন কারখানা। আবাসিক এলাকায় গড়ে ওঠা এ কারখানার কারণে স্বাস্থ্য ঝুকিতে আছে এতিমশিক্ষার্থী ও দূষিত হচ্ছে পরিবেশ।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের পিরোজপুর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে এতিম শিশুদের জন্য স্থাপিত মুজাফফর আলী ফাউন্ডেশনের মুলফটকের সামনে চুনাপাথরের স্তুপ। ফটক থেকে একটু সামনে এগুলেই চোখে পড়ে এতিমখানা বিল্ডিংয়ের একটা অংশ জোড়পূর্বক দখল করে কারখানায় আসা যাওয়ার রাস্তা তৈরি করেছে স্থানীয় প্রভাবশালী মোল্লা পরিবার। স্থানীয় পিরোজপুর গ্রামের তাজু মোল্লা ও তার ছেলে শোয়েব মোল্লা এতিমখানা দখল করে চুনের কারখানা তৈরি করেছে। অবৈধ গ্যাস সংযোগ এবং এর পরিবেশ ছাড়পত্র নেই বলেও অভিযোগ উঠেছে।

সোনারগাঁ উপজেলার পিরোজপুর এলাকায় ওই চুন কারখানায় পাথর পুড়িয়ে চুন তৈরি করা হচ্ছে। কারখানার কালো ধোঁয়া, দাউ দাউ করে জ্বলা আগুনের উত্তাপ এবং গন্ধে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। কারখানাটির দূষিত বায়ু ও বজ্যে এতিমখানাটি বন্ধের উপক্রম হয়েছে। জানা গেছে, এই এতিমখানায় কোনো ছাত্র ভয়ে ভর্তি হয় না। চুনের কারখানা দেখলেই চলে যায়।

স্থানীয়রা জানান, গ্যাসের আগুন যখন দাউ দাউ করে জ্বলে, তখন গন্ধ আর তাপে ঘরে থাকাই দায় হয়ে যায়। স্বাভাবিক নিঃশ্বাস নেওয়া যায় না।

স্থানীয় সূজন মিয়া জানান, নূরে আলম ও রনি মোল্লা পিরোজপুরে দুটি এবং পৌরসভায় একটি চুন কারখানায় চুন উৎপাদন করে আসছেন। তিনটি কারখানার কোনটিরই বৈধ কাগজপত্র নেই এবং অবৈধ গ্যাস সংযোগের মাধ্যমেই তারা চুন উৎপাদন করে সরকারের লাখ লাখ টাকা লোকসান করছে। তিনি আরো জানান, একটি কারখানায় মাসে প্রায় ১৫ লাখ টাকার গ্যাস পুড়লে তিনটিতে ৪৫ লাখ টাকার অবৈধ গ্যাস পুড়িয়ে তিাসের অসাধু কর্মকর্তাদের দিচ্ছে মাত্র ৫ লাখ টাকা। চুন বিক্রি না করলেও শুধু গ্যাস থেকে প্রতিমাসে লুটে নিচ্ছে ৪০ লাখ টাকা।

এ ব্যাপারে শোয়েব মোল্লা বলেন, এ কারখানাটি আমরা ভাড়া দিয়েছি। কারখানার মালিক নুরে আলম ও রনি। তারা তিতাস গ্যাস কম্পানীর কিছু অসাধু কর্মকর্তাকে প্রতিমাসে মোটা অংকের বিল দিয়ে থাকে। সময় মতো গ্যাস বিল না দিলে লাইন কেটে দেয়। এছাড়াও প্রশাসনকে মাসোহারা দিয়ে এ কারখানা চলে বলেও তিনি জানান।

সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদ এলাহী বলেন, চুন কারখানার বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে খুবদ্রত এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনার মতামত জানান