এড. সামসুল ইসলাম ভূঁইয়ার বর্নাঢ্য রাজনীতি

প্রকাশিত

এডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া নারায়ণগঞ্জ বিশেষ করে সোনারগাঁ আওয়ামী লীগে একটি পরিচিত নাম আওয়ামী রাজনীতি, মুক্তিযুদ্ধ, সাংবাদিকতা একজন সফল আইনজীবি হিসেবে তাঁর নাম নক্ষত্রের মতো জাজ্বল্যমান তাঁর ৭১ বছর বয়সে রাজনৈতিক জীবনে বহু ঘাত প্রতিঘাত নির্যাতনের শিকার হলেও একদিনের জন্যও আওয়ামী লীগের রাজনীতি থেকে সড়ে দাঁড়াননি তিনি রাজনীতি করেছেন চাওয়ার পাওয়ার উর্ধ্বে থেকে নিঃস্বার্থভাবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারন নিবেদিত প্রাণ হিসেবে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন এবং দিচ্ছেন ১৯৬৪ সালে ছাত্ররাজনীতি থেকে তার পথচলা বর্তমানে তিনি সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন

বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া ১৯৪৯ সালের এপ্রিল সোনারগাঁয়ের নোয়াগাঁও ইউনিয়নের পরমেশ্বরদী গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম আলহাজ তোরাব আলী ভূঁইয়া। উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসাবে প্রায় ১২ বছর অতি সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ১৯৫০ সালে তাঁর পিতা পরমেশ্বরদি সিনিয়র মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন এবং এলাকায় শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে ১৯০০ সালে প্রতিষ্ঠিত পরমেশ্বরদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় এক একর নিজস্ব জমি দান করেন।

এডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া ১৯৬৪ সালে ঐতিহ্যবাহী বারদি হাইস্কুল ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার মাধ্যমে ছাত্র রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। ১৯৬৬ সালে তোলারাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।১৯৬৯ সালে ছাত্রলীগের মনোনীত প্রার্থী হিসাবে তোলারাম কলেজ বিজ্ঞান পরিষদের জিএস নির্বাচিত হন। এরপর তিনি ১৯৬৯ সালে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ঐতিহাসিক ১১ দফা ছাত্র আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।১৯৭০ সালে ঢাকা জেলা ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে সমগ্র ঢাকা জেলায় তৎকালীন জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামীলীগ দলীয় প্রার্থীর জয়লাভের পক্ষে সক্রিয় অংশগ্রহন করেন

১৯৭১ সালে ঐতিহাসিক মার্চের ভাষণের সময় বঙ্গবন্ধু কর্তৃক ঢাকা রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর নৈকট্যে থেকে ছাত্রলীগের স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করেন

মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় দেশের অভ্যন্তরে ছাত্র যুব সমাজকে বিভিন্ন প্রশিক্ষণসহ স্বাধিন বাংলার জাতীয় পতাকা গ্রামগঞ্জে পৌঁছে দেয়া বিভিন্নস্থানে পাকিস্তানি পতাকা নামিয়ে পুড়িয়ে তথায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করার ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি হিসাবে যোগ্যতার পরিচয় দিয়েছেন

১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু কর্তৃক স্বাধীনতা ঘোষণার পর মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহনের লক্ষে এপ্রিলের শেষদিকে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে আগরতলা মুক্তিযোদ্ধা প্রশক্ষণ কেন্দ্র ‘‘গোকুল নগর ইয়থ ক্যাম্প’’ দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে প্রায় ৮০ হাজার যুবকের মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন।