একটি আলোকিত বাতিঘর
একটি গাছ যেমন বীজ বপনের পর থেকে সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে ধীরেধীরে বড় হয়ে ওঠে, ফুলে ফলে পরিপূর্ণ হয়, তার ছায়ায় আশ্রয় নেয় হাজারো পথিক।মৌমাছিরা মধু আহরণ করে, আরো কত কি!!
তেমনি একটি বিকশিত, পরিপূর্ণ বাতিঘর হলো আমাদের “সনমান্দী হাছান খান উচ্চ বিদ্যালয়”। ১৯৭১ সালে এক কীর্তিমান পুরুষ জনাব হাছান খান সাহেবের হাত দিয়ে তার বীজ বপন হয়,আর তা ধাপে ধাপে গভর্নিং বডির তত্ত্বাবধানে বেড়ে উঠতে থাকে। কিন্তু সেটা বিকশিত, পরিপূর্ণতায় রূপ পায় ২০১৯-২০২১ এই দুই বছরে। আর এই অসম্ভব উন্নতি সাধিত হয় এই সনমান্দীরই কৃতি সন্তান, দৈনিক প্রথম আলোর কলম সৈনিক সোনারগাঁ প্রতিনিধি জনাব মনিরুজ্জান মনির (সভাপতি) সাহেবের হাতে। তার অক্লান্ত শ্রম, মেধা, বুদ্ধিমত্তা ও মননশীলতার ফসল আজকের এই বিদ্যালয়। এই উন্নয়নের অন্তর্ভুক্ত রয়েছে বিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, আকর্ষণীয় শহীদ মিনার স্থাপন, বেষ্টনী প্রাচীর নির্মাণ, বিদ্যালয়ের রং ও মেরামত, বিদ্যালয়ের দুই দিকের রাস্তা নির্মাণ। শিক্ষার মান উন্নয়নেও রয়েছে তার অনেক অবদান।গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষ যাতে স্বল্প খরচে তাদের ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনা করাতে পারে সে জন্য রয়েছে তার আর্থিক সহযোগিতা, শিক্ষকদের জীবন মানের উন্নয়ন, নিজস্ব অর্থায়নে শিক্ষকদের কোচিং ভাতা প্রদান, দুর্যোগ ও ঈদকালীন সময়ে কর্মচারীদের প্রণোদনা প্রদান ইত্যাদি।
যার ফলে আজ সনমান্দী হাছান খান উচ্চ বিদ্যালয় আজ সোনারগাঁ থানার মধ্যে একটি সুপ্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয় হিসেবে খ্যাত। আজ বিদ্যালয়ের মাঠে দাঁড়ালে গর্বে বুকটা ভরে যায়।যা ছিল এক সময় আমাদের স্বপ্ন।
আমরা বিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক ও অভিভাবক সদস্যদের পক্ষ থেকে তার (সভাপতি) সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
(সেলিনা আক্তারের ফেসবুক থেকে নেওয়া)
আপনার মতামত জানান