উপকারভোগীরা প্রধানমন্ত্রীর ঘর উপহার পেয়ে খুশি

প্রকাশিত


জীবনে যা কল্পনা করেননি বয়সের ভাড়ে ন্যুজ হওয়া ফাতেমা বেগম প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেয়ে আনন্দে অঝোড়ে কেঁদে ফেললেন। জায়গা জমি নেই, জীবনের গানি টানছেন অন্যের বাড়িতে আশ্রিত হয়ে।
ফাতেমা বেগম বলেন, ‘আমরা তো বাবা গরিব অসহায়। আমাগো জমিন অইবো ঘর অইবো এইডা স্বপ্নেও চিন্তা করি নাই। মুজিব বর্ষ উপলক্ষে জমিসহ ঘর পেতে যাওয়া সোনারগাঁ উপজেলার বৈদ্যের বাজার ইউনিয়নের সাহাপুর গ্রামের ফাতেমা বেগম এমনভাবেই কথাগুলি বলছিলেন।

মুজিব বর্ষ উপলক্ষে আমেনা বেগমের মত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই উপহার পাচ্ছেন সোনারগাঁ উপজেলার মোট ১০০ পরিবার। মাথা গোঁজার স্থায়ী আবাসন পেয়ে আনন্দে অশ্রুসজল ভূমিহীন হতদরিদ্র পরিবারগুলো।

প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগে সোনারগাঁয়ে এসব ঘর নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। সরকারি খাস জমির ওপর ভ’মিহীনদের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আধুনিক আবাস। এসব অসহায় পরিবারদেরকে শুধু ঘর নয়, ঘরের সঙ্গে রয়েছে রান্নাঘর, টয়লেট ও সামনে খোলা বারান্দা। ঘর নির্মাণে মান নিশ্চিত করার কথা বিবেচনা করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়োগ না করে উপজেলা প্রশাসন নিজেদের তদারকির মাধ্যমে তা নির্মাণ করে দিচ্ছে। ফলে কম খরচে ভাল মানের ঘর নির্মাণ করা সম্ভব হয়েছে। প্রতিটি ঘরের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।

সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আতিকুল ইসলাম জানান, আশ্রয়ণের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার-এই শ্লোগানকে সামনে রেখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প ২-এর আওতায় সোনারগাঁ উপজেলায় ১০০টি ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসনের তদারকিতে এরই মধ্যে ৯০টি ঘর নির্মাণের কাজ শেষ পর্যায়ে। বাকি ১০টি ঘর অচিরেই নির্মাণ করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পরেই এই ঘরগুলো হস্তান্তর করা হবে উপকারভোগীদের মাঝে।

আপনার মতামত জানান