ইয়াবা সেবনে বাধা দেওয়ায় ব্যবসায়ীকে ছুরিকাঘাতে খুন
যাত্রাবাড়ীতে মাদকসেবীদের ছুরিকাঘাতে এক ফার্নিচার ব্যবসায়ী খুন হয়েছেন। নিহতের নাম মো. বাবলু হোসেন (৩২)। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৯ টায় শহীদ ফারুক সড়ক, মনা টাওয়ারের সামনে ছুরিকাঘাতের এ ঘটনা ঘটে। মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় এ হত্যাকাণ্ড বলে অভিযোগ স্বজনদের। গুরুতর আহতাবস্থায় বাবলুকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে চিকিৎসক রাত আড়াইটায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জানা যায়, নিহত বাবুল ৩৪/২ দক্ষিণ যাত্রাবাড়ীর স্থায়ী বাসিন্দা। তার বাবার নাম প্রয়াত আবুল হোসেন। তিন ভাই এক বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন বড়।
নিহতের ভগ্নিপতি শফিকুল ইসলাম জানান, শনিবার ইফতারের সময় বাবলু আমার বাসায় আসেন। তিনি বলেন, এ সময় তার সহযোগী কামালও ছিলেন। ইফতার শেষ করে কাজলায় একটি বাসায় ফার্নিচারের অর্ডারের জন্য গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বাবুল ও তার সহযোগী কামাল রিক্সাযোগে দক্ষিন যাত্রাবাড়ীর বাসায় ফিরছিলেন।
পথে ফারুক সড়ক রতন, সুজনসহ ৩/৪ জন সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী তার রিক্সা গতিরোধ করে তাকে নামিয়ে ঘাড়ে, পিঠে, মাথায় এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে।
পরে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে এলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়। হাসপাতালে থেকে জানানো হয়, করোনাকাল হওয়ায় সিট খালি নেই। তারপরে তাকে কাজলায় ভগ্নিপতির বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। বাসায় নেওয়ার পর তার অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার অবস্থার অবনতি হয়। পরে দ্রুত আবার ঢামেকের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে চিকিৎসক রাত আড়াইটায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শফিকুল আরও বলেন, বাবলু দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী খালপাড় এলাকায় একটি স্টিল ফার্নিচার কারখানায় কাজ করতেন। ওই কারখানার পাশে রতন এবং আরও একজন প্রতিদিনই ইয়াসা সেবন করতেন । বাবুল তাদেরকে এ কাজে বারণ করতেন
এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয় কয়েকবার। এ কারণেই বাবলুকে হত্যা করা হতে পারে বলে স্বজনদের অভিযোগ। এই ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানায় রতনসহ আরও একজন আটক রয়েছে।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের পুলিশ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
আপনার মতামত জানান