ইউটিউব অফিসিয়াল ব্লগে প্রথম বাংলাদেশি

প্রকাশিত



অনলাইন ডেস্ক :
রেডিওতে কাজ করার সময় নিজের সুমিষ্ট ভাষ্যতে মুগ্ধ করেছেন শ্রোতাদের। সঞ্চালনা করেছেন একাধিক জনপ্রিয় অনুষ্ঠান। তবে রেডিওর সেই স্বর্ণযুগটা এখন আর নেই। তিনিও নিজেকে মেলে ধরেছেন ভিন্ন প্ল্যাটফর্মে, ফেসবুক-ইউটিউবে। এখানেও সাফল্যের শিখরে পৌঁছে গেছে তিনি।

বলছিলাম রেডিও জকি তথা আরজে কিবরিয়ার কথা। যার পুরো নাম মো. গোলাম কিবরিয়া সরকার। এখন তিনি পুরোদস্তর কনটেন্ট ক্রিয়েটর। অন্তর্জালে তার সফলতম কনটেন্ট ‘আপন ঠিকানা’। এই ধারাবাহিক কনটেন্টের সুবাদে নিজের হারিয়ে যাওয়া আপনজনকে খুঁজে পেয়েছে প্রায় সাড়ে তিনশ পরিবার। যা কনটেন্ট ক্রিয়েশনের জগতে বিরল এবং গৌরবের নজিরও বটে।

আর সেই সুবাদেই ইউটিউব ব্লগে উঠে এসেছে আরজে কিবরিয়ার সাক্ষাৎকার। মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) প্ল্যাটফর্মটির অফিসিয়াল ব্লগে প্রকাশিত হয়েছে এটি। যেটার শিরোনামে বলা হয়েছে, ‘যেভাবে একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর প্রায় ৩৫০টি পরিবারের পুনর্মিলনে ভূমিকা রেখেছেন’।

আরজে কিবরিয়ার মতে, ইউটিউবের ব্লগে তিনিই প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে জায়গা পেলেন। এমন অনন্য অর্জনে বাকরুদ্ধ তিনি। ছোট করে সোশ্যাল হ্যান্ডেলে লিখলেন, ‘হাত কাঁপছে! কী লিখবো বুঝতে পারছিনা! আলহামদুলিল্লাহ। লিংকে গেলে বুঝতে পারবেন হয়তো।
বাংলাদেশের কোনও কনটেন্ট ক্রিয়েটরকে নিয়ে এটাই প্রথম ইউটিউব ব্লগ পোস্ট। এর আগে বাংলাদেশ থেকে কোনও কনটেন্ট ক্রিয়েটরকে ইউটিউব তাদের অফিসিয়াল ব্লগ পোস্টে আনেনি।’

কিবরিয়ার অনুষ্ঠানটি নিয়ে ইউটিউবের ওই ব্লগে লেখা হয়েছে, “গত তিন বছরে ‘আপন ঠিকানা’র ৪০০টির বেশি পর্ব তৈরি করা হয়েছে। এবং প্রায় সাড়ে তিনশ পরিবারের পুনর্মিলনে সহযোগিতা করেছেন। মহামারির সময় কিবরিয়া তার ‘আপন ঠিকানা’ চ্যানেলটি চালু করেন। ‘লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড’ নামের একটি অনুষ্ঠান তিনি আগে রেডিওতে করতেন, সেটাকেই নতুনভাবে শুরু করেন। অনুষ্ঠানটির হৃদয়স্পর্শী ও আবেগপূর্ণ ভিডিওগুলো বাংলাদেশে জনপ্রিয়তা পায়।”

এসব বর্ণনার পাশাপাশি কিবরিয়ার একটি ছোট সাক্ষাৎকারও প্রকাশ করা হয়েছে ব্লগে। যেখানে প্রশ্ন-উত্তরে উঠে এসেছে তার ইউটিউব জার্নির নানা গল্প।

প্রসঙ্গত, দেড় দশকের বেশি সময় ধরে রেডিও জকি হিসেবে কাজ করেছেন আরজে কিবরিয়া। তার শুদ্ধ ও সাবলীল বাচনভঙ্গি অনেকেরই প্রিয়। সেই সুবাদে বিভিন্ন টিভি অনুষ্ঠানও করেছেন। বছর দুয়েক যাবত তিনি পুরোপুরিভাবে সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে নিজেকে যুক্ত করছেন। সেখানে কাজ করছেন পুরোদমে।

আপনার মতামত জানান