আষাঢ়িয়ারচরে এমএ হালিমের বাড়িতে হামলা, ককটেল উদ্ধার

প্রকাশিত

সোনারগাঁ উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নে ৬ নং ওয়ার্ড’র মেম্বার প্রার্থী এম এ হালিম ও তার সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগ উঠেছে বিজয়ী মেম্বার প্রার্থী রফিকুল ইসলাম সরকারের সমর্থকদের বিরুদ্ধে।

২৮ নভেম্বর রবিবার সোনারগাঁ উপজেলায় ৮ টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে পিরোজপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডে আপেল প্রতীক নিয়ে মেম্বার প্রার্থী হয়ে রফিকুল ইসলাম সরকারের মোরগ প্রতীকের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন এম এ হালিম। এম এ হালিম পরাজয় মেনে নিয়ে বিজয়ী মেম্বার প্রার্থী রফিকুল ইসলাম সরকারের সফলতা কামনা করে তার সমর্থকদের নিয়ে ওই ওয়ার্ডস্থ তার নিজ বাড়ি আষাড়িয়ারচর গ্রামে চলে যাওয়ার পর রাতের আধারে (১০ ঘটিকায়) আকস্মিকভাবে রফিকুল ইসলাম সরকারের আষাড়িয়ারচর গ্রামের সমর্থকরা এম এ হালিম ও তার সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ককটেল বিস্ফোরণসহ পুরো এলাকা আতংকিত করে তোলে।

হামলায় এম এ হালিমের কলেজ পড়ুয়া ছেলে সিরাজি, তার দুই ভাতিজা ও নারীসহ কমপক্ষে ৫ জনকে আহত করে। আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। হামলার ঘটনার পর রাতেই ওই এলাকায় সোনারগাঁ থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, হামলা করে পালিয়ে যাওয়ার সময় (ঢাকা মেট্টো-ল, ৫২-৫৫৬৪) একটি মটর সাইকেল বাশের আটকে গেলে তা রেখেই হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। বাড়ির লোকজন জানান, রাতে অতর্কিত হামলা করে পালিয়ে যাওয়ার সময় বাড়িতে ভোটারদের বসার জন্য একটি ছামিয়ানা টানানোর বাশে লেশে লেগে মটর সাইকেল পরে গেলে তা রেখেই পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় হামলাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবী জানান তারা।

এ ঘটনায় এম এ হালিম জানান, বিজয়ী মেম্বার প্রার্থী রফিকুল ইসলাম সরকারের সাথে আমার কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন এই হামলার ব্যপারে আমি কিছুই জানিনা। তবে এ ব্যপারে রফিকুল ইসলাম সরকার মীমাংসার আশ্বাস দিয়েছে বলেও জানান তিনি।

জানতে চাইলে সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, এ ঘটনার পরপরই সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে, তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

আপনার মতামত জানান