আমি হেফাজতের পৃষ্ঠপোষক নই-এমপি খোকা
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ রিসোর্ট কান্ডে জাতীয় সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির এমপি লিয়াকত হোসেন খোকার ইন্ধন রয়েছে বলে সরকারের একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করলেও এমপি খোকা প্রকাশিত সংবাদের লিখিত প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি প্রতিবাদে জানান হেফাজতে ইসলামের একাধিক অনুষ্ঠানে অতিথি উপস্থিত থাকলেও তার সাথে সংগঠনটির পৃষ্ঠপোষকতার সাথে জড়িত থাকার কোনো সম্পর্ক নেই৷
জাতীয় একটি গণমাধ্যমে হেফাজত ঘেঁষা ও স্থানীয়ভাবে সংগঠনটির পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থাপন করায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাংসদ ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা৷ তিনি দাবী করেন পূর্বে প্রধানমন্ত্রী, বর্তমান সরকার, আওয়ামী লীগ এবং জাতীয় পার্টি বিদ্বেষী একটি কুচক্রী মহল ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য তার সম্পর্কে এ ধরনের বিভ্রান্তিকর অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে৷
এক বিবৃতিতে সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকা বলেন, জাতীয় একটি পত্রিকায় গত ২৫ এপ্রিল “তালিকা হচ্ছে হেফাজত-জামায়াতকে সহায়তাকারী ব্যবসায়ী আমলাদের” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে৷ প্রতিবেদনটিতে উদ্দেশ্যমূলক ও অপ্রাসঙ্গিকভাবে তার নাম জড়ানো হয়েছে৷ এর প্রতিবাদও জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির এই সাংসদ৷
তিনি বলেন, ‘প্রতিবেদনটিতে আমাকে হেফাজত ঘেঁষা ও এর স্থানীয় পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে আমি অত্যন্ত মর্মাহত হয়েছি যা আমার রাজনৈতিক নীতি আদর্শের সাথে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক। হেফাজত কিংবা এ সংগঠনটির কোন নেতাকর্মীর সাথে আমার ব্যক্তিগত বা রাজনৈতিক কোনো রকম সম্পর্ক নাই।
মরহুম আল্লামা আহমদ শফীর উপস্থিতিতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ক্বওমী সনদকে স্বীকৃতি প্রদানের পর নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের বারদী মাঠে স্থানীয় প্রশাসনের যথাযথ অনুমতি নিয়ে আয়োজিত শোকরানা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোআ মাহফিলে স্থানীয় সংসদ সদস্য হিসেবে আমিও আমন্ত্রিত হিসেবে উপস্থিত ছিলাম। পরবর্তীতে আহমদ শফী সাহেবের মৃত্যুর পর তাঁর জীবন ও কর্ম শীর্ষক আলোচনা সভা ও দোআ মাহফিলেও স্থানীয় সংসদ সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলাম। এরপর হেফাজতের আর কোনো অনুষ্ঠানে আমি অংশগ্রহণ করিনি৷ পরবর্তীকালে হেফাজতে ইসলাম সোনারগাঁ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আমাকে প্রধান অতিথি করলেও আমি দ্বিমত পোষণ করায় উক্ত অনুষ্ঠানটিই আর হয় নাই। এরপর পৌরসভার দরপদ মাঠে হেফাজত কর্তৃক আয়োজিত ওয়াজ মাহফিলে আমাকে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ করলেও আমি সেখানে যাই নাই। এরই মধ্যে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ইস্যুতে হেফাজত কর্তৃক বিভিন্ন নেতিবাচক বক্তব্য ও কর্মকান্ডের কারণে তাদেরকে সোনারগাঁও এলাকায় আর কোন কর্মসূচি পালন করতে দেই নাই। প্রতিবেদনটির এক অংশে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট সম্পর্কে আমার বক্তব্যের সঙ্গে হেফাজতের বর্তমান ঘটনা প্রবাহের কোনো সম্পর্ক নাই।’
আপনার মতামত জানান