আদালতের টয়লেটে নারীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় পুলিশ কর্মকর্তা!
আদালতের শৌচাগারে অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়লেন পুলিশের এক সহকারী উপপরিদর্শক। চাঁদপুর জেলা জজ আদালতে কর্মরত আরিফ হোসেন নামে এই পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। বুধবার রাতে এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন, জেলা পুলিশ সুপার মো. মাহবুুবর রহমান। এর আগে বিকেলে পুলিশ লাইনস্-এ তাকে প্রত্যাহার করা হয়।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আরিফ হোসেনকে চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার মহজমপুর গ্রাম থেকে আগত বিচারপ্রার্থী এক নারীর সঙ্গে জেলা জজ আদালতের দ্বিতীয় তলায় বাথরুম থেকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে উপস্থিত জনতা। পরে তাদের দু’জনকে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)র কাছে হস্তান্তর করা হয়।
সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আরিফ হোসেন জেলা জজ আদালতে পুলিশ বিভাগে কর্মরত। তার কাজ হচ্ছে, জেলখানা থেকে প্রতিদিন আসামিদের আনা-নেওয়া করা। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করার জন্য পুলিশের একটি আভ্যন্তরীণ কমিটি গঠন করা হয়েছে। পুলিশ সুপার মো. মাহবুবুর রহমান জানান, তদন্তে পুলিশ সদস্য আরিফ হোসেন দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে আরো কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, কারো ব্যক্তিগত দায় পুলিশ বহিনী নিতে পারে না। এ ঘটনায় জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে কর্মরত পরিদর্শক (অপরাধ) নাজমুল হককে প্রধান করে এক সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে পুলিশ সুপারের কাছে প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্ত জমা দেবেন তিনি।
এদিকে, ঘটনার পরপরই জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)র ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূর হোসেন মামুনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ আদালতে ছুটে যান। এসময় জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সহায়তায় আটক পুলিশ ও নারীকে নিজেদের হেফাজতে নেন। পরে তাদের জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নিয়ে যান। একপর্যায়ে পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক আরিফ হোসেনকে জেলা পুলিশ লাইনস্-এ প্রত্যাহার এবং নারীকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, ওই নারীর সঙ্গে তার স্বামীর মামলা চলমান রয়েছে। স্বামী তার বিরুদ্ধে দু’টি মামলা করেছেন। তিনিও স্বামীর বিরুদ্ধে ১টি মামলা করেছেন। বুধবার এসব মামলার একটিতে ওই নারী আদালতে হাজিরা দিতে আসেন।
আপনার মতামত জানান