আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন ইলিয়ানা ডি ক্রুজ

প্রকাশিত

বলিউড সেনসেশন ইলিয়ানা ডি ক্রুজ। গ্লামার, চেহারা, নান্দনিক অভিনয়গুনে সবার মন জয় করেছেন এই অভিনেত্রী। লাখ যুবকের হৃদয় জয় করা এই তরুণীই কিনা একটা সময় আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন।

সম্প্রতি এই অভিনেত্রী বডি শেমিং নিয়ে মুখ খুলতে গিয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন।

ইলিয়ানার কথায়, আমার তখন ১২ বছর বয়স। পিউবার্টিতে ঢুকছি। তখন লোকে আমার শরীর নিয়ে মন্তব্য করত। অবাক হতাম। এখনও সে সব দিনের কথা মনে পড়লে মনে হয়, গতকালের ঘটনা। এতটাই ভয় ঢুকে গিয়েছে ভেতরে।

ডিপ্রেশনে ভোগা এই অভিনেত্রী জানিয়েছেন, এসব পরিস্থিতিতে নিজের মনের ওপর বিশ্বাস রাখাটা খুব দরকার। লোকে কী বলছে, তা অত গুরুত্ব না দেওয়ার জন্য মানসিক শক্তি প্রয়োজন। তুমি নিজেকে নিয়ে কী ভাবছ, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। আর এটা প্রতিদিন আমি নিজেকে বুঝিয়েছি, বলেছেন ইলিয়ানা।

ইলিয়ানার মনে হতো, এক মুহূর্তেই যদি সবকিছু শেষ করে দেওয়া যায়, তাহলে কেমন হবে? সেই পরিস্থিতি উতরে গেছেন এই অভিনেত্রী। তার অভিনীত ‘দ্য বিগ বুল’ ওয়েব সিরিজ মুক্তি পেয়েছে সম্প্রতি। এতে ইলিয়ানার অভিনয় আলাদাভাবে নজর কেড়েছে।

২০১৭ সালে সংবাদ সংস্থা আইএএনএসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইলিয়ানা বলেছিলেন, টিনএজে আমি লাজুক ছিলাম। নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত থাকতাম। তখন আমার মনে হতো, সবার কাছে নিজেকে গ্রহণযোগ্য করে তোলাটাই আমার একমাত্র কাজ। আমি আত্মহত্যার কথাও ভেবেছিলাম। কিন্তু সেখান থেকে লড়াই করতে শিখেছি।

বডি শেমিং করাটা অপরাধ বলে মনে করেন ইলিয়ানা। সব থেকে বড় কথা, কেউ এমন করলে ভেঙে না পড়ে প্রতিবাদ করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। আর বাড়াতে হবে আত্মবিশ্বাস। এটাই ইলিয়ানার ভালো থাকার মন্ত্র।

ইলিয়ানা ডি ক্রুজের জন্ম ১ নভেম্বর ১৯৮৭। ভারতীয় অভিনেত্রী হলেও তিনি মূলত তেলুগু এবং হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিনয় করে থাকেন। তামিল চলচ্চিত্রে ডি’ক্রুজ কেদি (২০০৬) এবং শঙ্করের নানবান (২০১২)-তে অভিনয় করেছেন। ২০১২ সালে ডি’ক্রুজ অনুরাগ বসুর বর্ফী সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন।

ডি’ক্রুজ ২০০৬ সালের তেলুগু চলচ্চিত্র দেবাদাসু-তে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ নারী অভিষেক বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার দক্ষিণ অর্জন করেছিলেন। তিনি পোকিরি (২০০৬), জলসা (২০০৮), কিক (২০০৯) এবং জুলায়ি (২০১২) সহ বিভিন্ন তেলুগু চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

ইলিয়ানা মুম্বাইয়ের মাহিমের একটি গোবান ক্যাথলিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার দশ বছর বয়সে তার পরিবার গোয়ার পারায় চলে যায়। তার মাতৃভাষা কোঙ্কণী।

অস্ট্রেলিয়ান আলোকচিত্রশিল্পী অ্যান্ড্রু নিবোনের সঙ্গে তিনি সম্পর্কে জড়িয়ে ছিলেন। গুঞ্জন ছিল যে তাদের দুজনের বিয়ে হয়ে গেছে। ২০১৯ সালের ২৮ আগস্ট ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানায়, দুই সেলিব্রেটির মধ্যে বিচ্ছেদ হয়ে গেছে।

আপনার মতামত জানান