আটক শামীমের কার্যালয় থেকে যা উদ্ধার করল র্যাব
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে রাজধানীর নিকেতনে তার ব্যবসায়িক কার্যালয় জি কে বিল্ডার্স থেকে শামীমকে আটক করা হয়।
এর আগে বেলা ১২টা থেকে তার কার্যালয়টি ঘিরে রাখে র্যাব সদস্যরা। এর পর ভেতরে অভিযান চালায় তারা।
অভিযানের পর অবৈধ অস্ত্রসহ শামীমকে আটক করে র্যাব। এসময় জি কে বিল্ডার্স থেকে বিপুল পরিমানে টাকা ও মাদক জব্দ করা হয় বলে জানিয়েছে র্যাবের দায়িত্বশীল একটি সূত্র।
র্যাব জানায়, অভিযানে শামীমের কার্যালয় থেকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ নগদ ১০ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া বিপুল পরিমানে এফডিআর ও ডলার (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) জব্দ করা হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে শামীমের ৬ দেহরক্ষীকে নিজেদের হেফাজতে নেয় র্যাব।
জি কে বিল্ডার্সের কর্মচারী দিদারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শুক্রবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে রাজধানীর নিকেতনে শামিমের ব্যবসায়িক কার্যালয় জি কে বিল্ডার্সে র্যাবের একটি দল এসে তার ৬ বডিগার্ডকে তুলে নিয়ে যায়।
ভোর বেলা সিটি কর্পোরেশনের লোক বলে র্যাব শামীমের কার্যালয়ে ঢোকে বলে জানার দিদারুল ইসলাম। পরে র্যাব পরিচয়ে তাদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
র্যাব-১ সূত্রে জানা গেছে, শামীমের দেহরক্ষীদের থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এসব অস্ত্র লাইসেন্সকৃত কি না তা যাচাই করা হবে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে র্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং) এএসপি মিজানুর রহমান বলেন, এ মুহূর্তে গণমাধ্যমকে কিছুই জানাতে পারছি না। পরে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে নিকেতনে শামীমের কার্যালয় ঘিরে রাখে র্যাব। এর পর বেলা ২টার দিকে তাকে আটক করা হয় বলে র্যাব সূত্র জানায়।
রাজধানীর সবুজবাগ, বাসাবো, মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রভাবশালী ঠিকাদার হিসেবে পরিচিত যুবলীগ নেতা এসএম গোলাম কিবরিয়া শামীম।
বিএনপি-জামায়াত শাসনামলেও গণপূর্তে এই শামীমই ছিলেন ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণকারী ব্যক্তি। সেই জিকে শামীম এখন যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সমবায়বিষয়ক সম্পাদক।
এর আগে অবৈধ জুয়া ও ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে র্যাবের হাতে আটক হয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ মহানগর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। অস্ত্র ও মাদকের পৃথক দুই মামলায় তাকে সাত দিনের রিমান্ডেও পেয়েছে পুলিশ।
সম্প্রতি ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কয়েকজন নেতার বিষয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার পরই ছাত্রলীগের পদ হারান শোভন-রাব্বানী। এর পর আটক হন খালেদ ও আজ আটক হলেন শামীম।
আপনার মতামত জানান