আওয়ামী লীগের উন্নয়নে হাতুড়াঘাত, প্রতিবাদে আগামীকাল মানববন্ধন
ডেইলি সোনারগাঁ :
জেলা পরিষদের অব্যাহত উন্নয়ণকে বাঁধাগ্রস্থ এবং বিতর্কিত করতে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকার নির্দেশে তার পালিত সন্ত্রাসীরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনের নামফলক হাতুড়ি দিয়ে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়ে আনন্দ মিছিল করার অভিযোগে আগামীকাল সকাল ১০ টায় সোনারগাঁ জি আর স্কুল এন্ড কলেজের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছেন সাবেক সাংসদ আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত।মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে উন্নয়ন ফলক ভাঙ্গার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত না করলে কঠোর আন্দোলনের হুসিয়ারি আসবে বলে জানা যায়।
সাবেক সাংসদ কায়সার হাসনাত বলেন, শিক্ষাখাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ণ প্রকল্পের আওতায় সর্বজন শ্রদ্ধেয় নেতা শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনের মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সীমানা প্রাচীর ও প্রধান ফটকের আনোয়ার হোসেনের নামফলক ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়া একটি রাষ্ট্রদ্রোহী অপরাধ। এটা সরকারের উন্নয়ণ প্রকল্প যা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাস্তবায়ন করেছেন। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে এ রাষ্ট্রদ্রোহী অপরাধের তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ জানাতে আগামীকাল সকালে মানববন্ধনের ডাক দিয়েছি। আমি আশা করি আওয়ামী লীগকে হেয় প্রতিপন্ন এবং জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে অসম্মানের প্রতিবাদে আওয়ামী লীগ সহ সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত থাকবেন।
‘খোকার দুই গালে জুতা মারো তালে তালে, আনোয়ার ভাই ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’ এমনই নানা স্লোগানে জি এম আরাফাতের নেতৃত্বে বুধবার (১৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর বঙ্গবন্ধু সড়কে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে।
জানা যায়, সোনারগাঁ উপজেলার পানাম নগরে অবস্থিত সোনারগাঁ জি.আর ইনষ্টিটিউশন মডেল স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান গেইট ও প্রতিষ্ঠানটির বাউন্ডারি ওয়াল জেলা পরিষদের অর্থায়নে নির্মিত হয়। ১৭ নভেম্বর মঙ্গলবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি পরিদর্শণে যান সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান গেইটের সামনে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও নারায়ণগঞ্জ শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের উদ্বোধনী নামফলক দেখতে পেয়ে সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকা তার কর্মীদের সামনে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমি এমপি আমার নাম নেই! জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের নাম এখানে কিভাবে দেওয়া হলো। তার নামফলক এখান থেকে এক ঘন্টার মধ্যে সরিয়ে নেওয়ার জন্য লিয়াকত হোসেন খোকা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ সুলতান মিয়াকে নির্দেশ দেন। এমপির এ নির্দেশ পাওয়ার ২০ মিনিট পর তার অনুগামী ও জাতীয় পার্টির কর্মীরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনের নামফলক ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নামফলকটি ভেঙ্গে ফেলার সময় এমপি খোকা প্রতিষ্ঠানের ভেতরের মাঠে দাঁড়িয়েছিলেন।
জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বলেন, আসন্ন সোনারগাঁ পৌরসভা নির্বাচনে লিয়াকত হোসেন খোকার স্ত্রী ডালিয়াকে মেয়র পদে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য ও জিআর ইন্সটিটিউট স্কুলের সভাপতি ফারুক আহম্মেদের সমর্থন না পেয়ে, সমর্থন আদায়ে ব্যর্থতায় ঈর্ষান্বিত হয়ে জেলা পরিষদের নাম ফলকটি ভেঙে দেয়ার মত ন্যক্কারজনক ঘটনাটি ঘটিয়েছে যা খুবই নিন্দনীয়। এ ঘটনায় কিনি তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
আপনার মতামত জানান