সোনারগাঁয়ে বিএনপি ত্যাগীরা বঞ্চিত হচ্ছে আর সুবিধাবাদীরা বসছে আসনে
সোনারগাঁয়ে সুবিধাবাদীদের টাকার জোয়ারে হারিয়ে যাচ্ছে রাজপথের আন্দোলনকারী ও মামলা-হামলায় জর্জরিত ত্যাগী বিএনপি নেতা-কর্মীরা। ফলে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ত্যাগী নেতা-কর্মীদের মধ্যে দিন দিন ক্ষোভ ও হতাশায় দেলের লোভী নেকাকর্মীদের প্রতি নিন্দা ঘনীভূত হচ্ছে।
জানাগেছে, আওয়ামীলীগের টাকার মেশিন উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের বস্তল এলাকার গোলজার ওরফে ভূমিদস্যু গোলজার আলীগ আমলের এমপি, মন্ত্রী সহ শীর্ষ নেতাদের নিয়মিত মাসোহারা দিয়ে নানা অপকর্ম মাধ্যমে কোটিপতি বনে গেছে। আলীগ আমলে তার রোশানলে পড়ে অনেক বিএনপি নেতাকর্মীরা বাড়িঘর হারিয়ে মামলায় জর্জরিত হয়ে আত্মগোপনে ছিল। ৫ আগষ্টের পর সারা দেশের রাজনৈতিক চালচিত্র পরিবর্তন হলেও টাকার প্রভাবে গোলজার আছে বহাল তবিয়তে। জানা যায়, হজ্জ কাফেলা সহ নানা উপঠোকন দিয়ে বিএনপি নেতাদের কব্জা করে সে আবারো নিজের রাজত্বে বহাল আছে। বর্তমানে আলীগ থেকে বিএনপিতে তার শিকড় আরো মজবুতভাবে গেড়েছে। এ নিয়ে স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।
সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্বের অন্দরমহলে দালালচক্র সুবিধাভোগের মাধ্যমে দলে অন্তধন্ধ সৃষ্টি করে বিএনপির সচল নেতৃত্ব কলুষিত করছে স্থানীয় বিএনপির বিজ্ঞ মহল মনে করছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, স্থানীয় বিএনপির শীর্ষ মহলে কোনো অদৃশ্য দালালচক্র অর্থের লোভ-লালসায় প্রলোভিত করে বিএনপি দলকে ব্যর্থ দলে পরিণত করতে উঠে পড়ে লেগেছে। এখনই সুবিধাবাদীদের দলের বাইরে রেখে দীর্ঘদিনের সুবিধাবঞ্চিত ত্যাগী, মামলা- হামলার শিকার নেতা-কর্মীদের দলে সঠিক মূল্যায়ন করা অনিবার্য। নতুবা সোনারগাঁয়ে এখন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে যে নিন্দা ও ক্ষোভের জন্ম নিয়েছে ভবিষ্যতে তা আরো বিস্ফোরক প্রতিক্রিয়ায় রুপ নেবে।
জনৈক উপজেলা বিএনপির প্রবীন নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলছেন, দলের দুর্দিনে দলীয় কমিটি করার লোক পাওয়া দুষ্কর ছিল। অনেকে কমিটিতে আসতে চায়নি। বাড়ীতে বাড়ীতে গিয়ে অনেক বুঝিয়ে-সুঝিয়ে উপজেলা থেকে ওয়ার্ড পর্যায়ে বিগত বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কমিটি করছেন তারা। গত ৫ আগষ্ট ফ্যাসিস্ট আলীগ সরকারের পতনের পর অনেকে নব্য বিএনপি হয়েছে। এখন এরা কোনো অদৃশ্য দালালের মাধ্যমে দলে ভিড়ে মাতব্বরি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। এদের এখুনি চিহ্নিত করা পরিহার্য।
তিনি আরো বলেন, টাকার বিনিময়ে যারা রাজনৈতিক সুবিধা নিচ্ছে দলের দুঃসময়ে তাদের খুঁজে পাওয়া যাবে না। সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির উচিত অতিত থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে চলা। টাকার কাছে বিক্রি হয়ে ত্যাগী নেতাদের বঞ্চিত করে নিজের পায়ে নিজেরাই কুড়াল মারছে।
আপনার মতামত জানান