অসহায়ের সহায় উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম আহবায়ক ইঞ্জি. মাসুম
কখনো কি খবর নিয়েছেন সরকারের নির্দেশে দিনমজুর, হত দরিদ্র, নিম্নবৃত্ত, মধ্যবৃত্ত, সাধারণ মানুষ ঘরে বসে কিভাবে করোনা ভাইরাস মোকাবিলা করছেন? আপনি কি জানেন এই সকল শ্রেণী পেশার মানুষের কয় জনের ঘরে খাবার রয়েছে। হ্যা আপনাকেই বলছি, আপনি যাদের সম্বল করে সোনারগাঁয়ের রাজনীতির মাঠ গরম রেখেছেন সেই মানুষগুলো এখন আপনার সহযোগিতা কামনা করছে। জানেন কি বেশি’র ভাগ মানুষের প্রতিদিনের আয় দিয়ে সংসার চালাতে হয়। কিন্ত কি করার জীবনের তাগিদে অনিশ্চয়তার মধ্যে ঘরে বসে সময় কাঁটাতে হচ্ছে।
ভাবছেন আগে বাঁচলে পরে অনেক রাজনীতি করা যাবে। ঝুকির মধ্যে নিজের জীবনকে বিপদে ফেলে অন্যের কথা চিন্তা করার সময় কই? তাছাড়া টাকা পয়সারও তো ব্যাপার আছে। তাহলে হোম কোয়ারেন্টিনে চলে যান। তবে হোমকোয়ারেন্টিনে আছেন জানলে পার পাওয়া যেতো যদি না সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক ইঞ্জি.মাসুদুর রহমান মাসুম ঘরবন্ধি থাকতেন। তিনি করোনা ঝুঁকি নিয়ে সাধারণ মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে খাবার তুলে দিচ্ছেন। করোনায় সোনারগাঁয়ে ইঞ্জি মাসুদুর রহমান মাসুমের মাঝে অসহায় মানুষগুলো দানবীর হাজী মোহাম্মদ মহসীনকে খুজে পেয়ছে। তিনি এখন অসহায় মানুষের রবিনহুড।
শুধু কর্মহীন শ্রমজীবী, অসহায় মানুষের পাশেই দাঁড়াননি এই সময়ে যারা ঘরবন্দী অসহায়য় মানুষের সেবা দিতে দিনরাত মাঠে, ময়দানে কাজ করছেন তাদের পাশেও মাসুম দাঁড়িয়েছেন তার হৃদয়ের বিশালতা নিয়ে। সাংবাদিক, পুলিশ, প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা চিন্তা করে সবাইকে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) উপহার দিয়েছেন। পত্রিকা হকারদের পিপই সহ দিয়েছেন খাদ্য সহযোগিতা। বেদে, হিজড়াদের নগদ অর্থসহ খাদ্য সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন। তার নিজ ইউনিয়নসহ সোনারগাঁয়ের ১০টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভার কর্মহীন ১০ হাজার মানুষদের পাশে খাদ্য সহায়তা নিয়ে দাঁড়িয়েছেন। খাবারের প্যাকেট নিয়ে মানুষের ঘরে ঘরে যাচ্ছেন তিনি। খোঁজ নিচ্ছেন মধ্যবৃত্ত শ্রেণী মানুষের। সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তাদের।
সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ সহ অন্যান্য সংগঠনের নেতাকর্মীদের দিকে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে রাজনীতি করেন অথচ তাদের ঘরে খাবার নেই এটা মেনে নিতে রাজি নন সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক ইঞ্জি. মাসুদুর রহমান মাসুম। তিনি কালের কন্ঠ পত্রিকার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন শুভসংঘের ব্যানারে ইতিমধ্যে অনেককে খাবার পৌছে দিয়েছেন।
ইঞ্জি. মাসুম চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রীর উপহারের সাথে নিজস্ব তহবিল মিলিয়ে তার ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর ব্যানারে খাদ্য সামগ্রী কর্মহীন মানুষের ঘরে ঘরে পৌছে দিচ্ছেন। তাছাড়া বিভিন্ন কম্পানী খাবার কম্পানীর নামে ব্যানার করে তা সাধারন মানুষের মাঝে পৌছে দিচ্ছেন। অন্যের সহযোগিতা নিজের নামে না চালালেও অনেকে গোপনে তার কাছ থেকে সহযোগিতা নিয়ে তাদের নামে চালিয়ে দিচ্ছেন। এ ব্যাপারে মাসুম চেয়ারম্যান বলেন এতে আমি বরং খুশি। লোকবলের অভাবে সোনারগাঁয়ের প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌছানো সম্ভব না। আমার উদ্যেশ্য হলো অনাহারি মানুষের ঘরে খাবার পৌছে দেয়া । তারা খাদ্য সহায়তা পেলেই আমি খুশি। আমি আমার নামের জন্য নয় মানবতার কল্যানে কাজ করছি।
উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও মহিলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে সারারাত নিজের হাতে প্যাকেট করে থাকেন। বিকেলের পর থেকে ঘরে ঘরে গিয়ে প্যাকেটগুলো পৌছানোর ব্যবস্থা করেন। শুধু ত্রাণের প্যাকেট নয়। নেতাকর্মী ও চিকিৎসকদের সমন্বয়ে পাঁচটি মেডিক্যাল স্বেচ্ছাসেবার টিম গঠন করেছেন।
কোনো গ্রাম থেকে সাধারণ কোনো রোগী ফোন করলে মেডিক্যাল টিম গিয়ে তাদের উপজেলা হাসপাতালে এনে চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা করছে। এই সকল পরিবারের নবজাত শিশুদের সহায়তা দিচ্ছেন। এ জন্য গ্রামে গ্রামে তালিকা তৈরির কাজ চলছে।
ভাটিবন্ধ এলাকার রতন বাইদা বলেন, মাসুম চেয়ারম্যান পুরো সোনারগাঁয়ের ছাতা হয়ে ছায়া দিচ্ছেন। হিজড়া মনিকা বলেন, কে ভেবেছে আমাদের কথা, কে রেখেছে আমাদের খোজ। একমাত্র মাসুম চেয়ারম্যান।
থানা সুত্রে জানা যায়, পুলিশ যেন নিরাপদে তাদের কর্তব্য পালন করতে পারেন সেজন্য ১৬০টি পিপিই উপহার দিয়েছেন সোনারগাঁ থানায়।
সোনারগাঁয়ের সংবাদকর্মীরা জানান, করোন পরিস্থিতিতে যে সাংবাদিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন, নিরাপদে সংবাদ সংগ্রহের জন্য প্রেস ক্লাব গুলোতে পিপিই উপহার দিয়েছেন।
সোনারগাঁ উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) আল মামুনের সাথে একদল স্বেচ্ছাসেবক সকাল থেকে রাত অবধি এসিল্যান্ডের সাথে কাজ করছেন তাদেরকেও পিপিই উপহার দিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক ইঞ্জি. মাসুদুর রহমান মাসুম।
উপজেলা ছাত্রলীগ নেতারা বলেন, যুগ্ম আহবায়ক ইঞ্জি. মাসুম ভাইয়ের নির্দেশে আমরা উপজেলার খেঁটে খাওয়া মানুষের তালিকা তৈরি করেছি। সারারাত প্যাকেট করে থাকি। আমাদের সাথে তিনি নিজেও থাকেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক ইঞ্জি. মাসুদুর রহমান মাসুম বলেন, কোন কিছু পাওয়ার জন্যে সাধারণ মানুষের পাশে আসিনি। শেখ হাসিনার নির্দেশে এবং দায়িত্ব মনে করেই আমি মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। এমন পরিস্থিতিতে আমার এই ক্ষুদ্রতম সহযোগিতা চলমান থাকবে। সোনারগাঁ উপজেলার মানুষের র্দুদিনে পাশে থাকতে চাই।
তিনি আরও বলেন, একটি মানুষও না খেয়ে থাকবে না। আমি উপজেলার বিশেষ করে আমার ইউনিয়নের প্রতিটি পরিবারে খোঁজ নিচ্ছি এবং সার্বিক সহযোতিা করে যাচ্ছি। যতদিন সরকার ঘোষিত লকডাউন থাকবে ততোদিন আল্লাহ’র রহমতে আমার সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
আপনার মতামত জানান