অফিস খুলেলেও আসেনি পুরো কর্মচাঞ্চল্য

প্রকাশিত

গতকাল শনিবার (১৫ মে) শেষ হয়েছে ঈদের ছুটি। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তিন দিনের ছুটি শেষে আজ রবিবার (১৬ মে) খুলেছে অফিস-আদালত। খুলেছে ব্যাংক-বীমা এবং শেয়ারবাজারও।

যদিও অফিস পাড়ায় কর্মচাঞ্চল্য এখনো পুরোপুরি আসেনি। এখনো ছুটির আমেজ। পুরো কর্মব্যস্ততা আসতে আরো কয়েকদিন লাগবে।

ঈদুল ফিতরের তিনদিনের ছুটি শেষে খুলেছে সরকারি-বেসরকারি অফিস। গত বৃহস্পতিবার (১৩ মে) থেকে ঈদের ছুটি শুরু হয়, তা শেষ হয় শনিবার (১৫ মে)। লকডাউনের মধ্যে রোববার থেকে শুরু হয়েছে অফিস, ব্যাংক, বীমা ও শেয়ারবাজার।

গত বৃহস্পতিবার (১৩ মে) শুরু হয় তিন দিনের ঈদের ছুটি। শুক্রবার পালিত হয় ঈদুল ফিতর। সাধারণ নিয়মানুযায়ী, রমজান মাস ২৯ দিনে হিসাব করে ঈদুল ফিতরের ছুটি নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু এবার করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে মানুষকে কর্মস্থলে রাখতে বৃহস্পতিবার (১৩ মে) থেকে ছুটি ঘোষণা করে সরকার।

ঈদের ছুটি শেষে আজ অফিসপাড়ায় যোগ দিয়েছেন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক-বীমা ও শেয়ারবাজারের কর্মজীবীরা। বিশেষ করে যারা ঢাকায় ঈদ করেছেন তারা আজ কাজে যোগ দিয়েছেন। আর গ্রামে ঈদ করতে যাওয়া পেশাজীবীদের ঢাকায় ফিরতে আরো কয়েক দিন লেগে যাবে। ফলে অফিস শুরু হলেও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি কম। কারণ, আন্তজেলা গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ঈদে গ্রামে যাওয়া মানুষকে ফিরতে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে।

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে চলমান বিধি-নিষেধে সীমিত পরিসরে খুলেছে ব্যাংক। আজ রবিবার সকাল ১০টায় শুরু হয়েছে লেনদেন। চলবে দুপুর ২টা পর্যন্ত। এর পরবর্তী আনুষাঙ্গিক কার্যক্রম শেষ করতে ব্যাংক খোলা থাকবে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত। আর দেশের শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয়েছে সকাল ১০টায়। চলবে বেলা দেড়টা পর্যন্ত।

আগে দেখা গেছে, ঈদের ছুটির পর প্রথম কর্মদিবসে অফিসপাড়ায় তেমন কর্মব্যস্ততা থাকে না। সহকর্মীরা একে অপরের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। একইভাবে ব্যাংকপাড়ায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া লেনদেনও খুব একটা হয় না। তবে এবার ঈদের ছুটিতে ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজ নিজ কর্মস্থল ত্যাগ না করতে সরকার থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। তাই ঈদের ছুটি শেষে প্রথম কর্মদিবসে সবার উপস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক থাকবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

তবে অফিসপাড়ায় ঈদের ছুটির পর প্রথম কার্যদিবসে চলছে কেবল আনুষ্ঠানিকতা আর শুভেচ্ছা বিনিময়। একইভাবে ব্যাংকপাড়ায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া লেনদেনও খুব একটা হবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে। সূত্রঃ কালেরকন্ঠ।

আপনার মতামত জানান